সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রী মালবিকা মুনশির নামে থাকা জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব, শেয়ার এবং গাড়ি অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এসব জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিপু মুনশির রাজধানীর উত্তরার প্লটসহ তিন তলা ভবন ও রংপুরের পীরগাছার থানার ৯১ দশমিক ৯২ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১১ ব্যাংক হিসাব, ৯টি শেয়ার ও ২টি গাড়ি অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ৮ কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪০ টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি হিসাবে আছে, ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬০ টাকা রয়েছে। ৯ শেয়ার ও ২ গাড়ি মূল্য দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮০ টাকা।
মালবিকা মুনশির রাজধানীর গুলশানের একটি জমি, ১টি ব্যাংক হিসাব ও পরিবারের সঞ্চয়পত্রসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার ১০৩ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে টিপু মুনশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি টিপু মুনশি পাবলিক সার্জেন্ট থাকা অবস্থায় অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখে। এছাড়া নিজ নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ করেছে। ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে স্থানান্তর ও রূপান্তর করছে। এজন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইনসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।