আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সোমবার (২১ এপ্রিল) দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য চাওয়া হয়।
বিএফআইইউ-এর পাঠানো চিঠিতে মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব খোলার আবেদনপত্র, কেওয়াইসি (নো ইয়োর কাস্টমার) এবং লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ সামনে আসার কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন, ১০ এপ্রিল রাতে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
পরবর্তী সময়ে ১৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত বিদেশি এক কূটনীতিককে ‘হানি ট্র্যাপ’-এর প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। মামলাটি দায়ের করা হয় ধানমন্ডি থানায়। ওই মামলার বাদী ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় মেঘনা আলম, তার সহযোগী সমিরসহ আরও কয়েকজনের উপস্থিতিতে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করা।