আমদানি করা পণ্যের কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন। রিটকারীরা হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব।
রিটে আমদানি করা পণ্যে ভোক্তা অধিকার রক্ষা, রাজস্ব ক্ষতি প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কিউআর কোড সংযুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে প্রচুর ভুয়া ও অননুমোদিত আমদানি করা পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এবং এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমদানি করা প্রতিটি পণ্যে কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাইকরণ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অনুমোদিত আমদানিকারকদের একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের (সিসিআইই) প্রধান নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর (সিসিআইই), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিএসটিআইসহ মহাপরিচালকসহ ৬ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।