‘আদালতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তোলার বিষয়টি জেল অথরিটির সিদ্ধান্ত’

আদালতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তোলা হবে কিনা সেটা জেল অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব‍্য করেন।

এর আগে রবিবার ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানকে হাতকড়া পরিয়ে তোলার সময়— ওই নেতা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আসলে এ বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারে না। আদালতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তোলা হবে কিনা, সেটা জেল অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আসামিকে যদি কন্ট্রোল করতে না পারা যায় এবং তার পক্ষ থেকে যদি কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, তাহলে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বা আরও জটিল কোনও পদ্ধতি গ্রহণ করে তাকে আদালতে তুলতে পারে জেল কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা আদালতকে জানিয়েছেন বিশেষ করে হাসানুল হক, শাজাহান খান ও জিয়াউল হাসান তাদের নির্বংশ করার হুমকি দিয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করছেন। এছাড়া এদের মধ্যে একজন তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হেলমেট ছুড়ে মেরেছেন। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা ঝুঁকি মনে করে— তাদের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আদালতে তুলেছে। তারা সেটা আদালতকে জানিয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলার মধ্যে প্রথমটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা। এ মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জন আসামি রয়েছেন, যারা এই অপরাধের নির্দেশদাতা ছিলেন। এই মামলার ১৭ জন আসামি আজ উপস্থিত ছিলেন। আমরা আজ আদালতে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছি এবং দুই মাসের সময় চেয়েছি। আদালত আমাদের দুই মাসের সময় দিয়েছেন।