সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সারা দেশের ৩৩০টি সরকারি কলেজে এক থেকে ৩৫ বছর ধরে সরকারি কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে বেসরকারিভাবে স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষের নিয়োগের মাধ্যমে চাকরি করে আসছি। কিন্তু আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না।
তারা বলেন, আমরা সামান্য মজুরিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা সরকারি কলেজের সবাই যে দফতরে চাকরি করছি সেখানে, সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। বিভিন্ন কলেজ জাতীয়করণ বা সরকারিকরণ করা হলেও আমাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করা হচ্ছে না।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা গত বছরের ২১ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেই। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে তার প্রেস সচিব দ্বারা মৌখিক আশ্বাস দেন। উপদেষ্টার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী সময়ে আবারও সংশ্লিষ্ট সব জায়গা স্মারকলিপি দেই। এর আগে আমরা আমরণ অনশন, সাংবাদিক সম্মেলন, নিজ নিজ কর্মস্থলে এক ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতিসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আমাদের বিষয়ে কোনও সরকারই এখনও পর্যন্ত কোনও দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ সময় তারা তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো–
সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। (শূন্য পদের বিপরীতে এবং নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে স্ব স্ব কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে হবে); কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে এবং রাজস্ব খাতভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিতে হবে।
মানববন্ধনে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য সচিব মো. ফরিদুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।