মেঘনা আলমের সহযোগী দেওয়ান সমির আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে

সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার  মামলায় মেঘনা আলমের সহযোগী দেওয়ান সমিরকে আবারও ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির মোরশেদ আলম তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।  আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।  শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখায় আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধণাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে, তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির KAWAII Group নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক বলে জানা যায়। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে, চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।

গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন ১২ এপ্রিল তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী হন মডেল মেঘনা আলম।