শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিশুর দুটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ‘বাবাকে ধরতে এসে না পেয়ে মা-সহ শিশুটিকে আটক করে পুলিশ’। এই ক্যাপশনের সঙ্গে একটি হাতকড়া পরা শিশুর ছবি আর একটি প্রিজনভ্যানে মায়ের সঙ্গের ছবি। হাতকড়া পরা প্রথম ছবিটির সূত্র না পাওয়া গেলেও প্রিজন ভ্যানের ছবিটি বিষয়ে জানা গেছে। ফ্যাক্টচেক বলছে, অধিকাংশ পোস্টে দুটো একই শিশুর ফটো দাবি করা হলেও, আসলে তা নয়।
প্রিজনভ্যানের ভেতরে মায়ের সঙ্গে একটি শিশুর ভিডিও আপলোড হয়েছে কয়েকটি অনলাইন প্লাটফর্মে। এই ঘটনার ভিডিও ঢাকার আদালতে ধারণ করা। আটক নারী ঢাকা দক্ষিণের লালবাগ এলাকার কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতা (যিনি ছাত্রহত্যা মামলায় কারাগারে) হাসিবুর রহমান মানিকের স্ত্রী ফারজানা রহমান নিলা।
ফ্যাক্টচেক করে কদরুদ্দীন শিশির তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, নিচের শিশু দুটি আলাদা। প্রথম যে শিশুর হাতে হাতকড়া লাগানো ছবি দেখা যাচ্ছে তার পরিচয় এখনও পাইনি। ছবিটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনে সার্চ করে কোন রেজাল্ট পাওয়া যায়নি। ছবিটি কবেকার বা প্রকৃত ঘটনা কী তা এখনও জানা যায়নি। (পরে আরও সময় নিয়ে দেখবো)।
আর দ্বিতীয় শিশুটির যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে প্রিজন ভ্যানে। এই ঘটনার ভিডিও ঢাকার আদালতে ধারণ করা। আটক নারী ঢাকা দক্ষিণের লালবাগ এলাকার কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতা (যিনি ছাত্রহত্যা মামলায় কারাগারে) হাসিবুর রহমান মানিকের স্ত্রী ফারজানা রহমান নিলা। হাসিবের নামে চালানো একটি ফেসবুক পেইজ এবং তার ঘনিষ্ট কয়েকজনের প্রোফাইল থেকে ভিডিওটি গত ৮ এপ্রিল পোস্ট করা হয়েছে।
হাসিবের শিশু ছেলেকে মায়ের সঙ্গে কারাগারে নেওয়া হয়েছে তা ভিডিওতেই দৃশ্যমান। এবং তার ঘনিষ্ট পেইজগুলোতেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে শিশুটিকে হাতকড়া পরানোর কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। অনেকে হাতকড়া পরানো শিশুটির ছবি আর হাসিবের স্ত্রী ও বাচ্চার ভিডিওকে একই ঘটনার ছবি ও ভিডিও বলে মনে করছেন, যা সঠিক নয়। দুটি শিশুর চেহারা, বয়স ইত্যাদি দৃশ্যতই ভিন্ন।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে ঘুরে বেড়ানো ‘হাতকড়া’ পরা পোস্টে অনেকে বলতে চাইছেন, বর্তমানে বাজারে পুলিশের আনুষঙ্গিক নানাকিছুর খেলনা ভার্সন পাওয়া যায়। এই হাতকড়াটি তেমন খেলনার হতে পারে।