স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতার এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এই আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাস জমি দখলের মাধ্যমে ৫ তলা স্থায়ী বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানিলন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়— অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

মোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতিবিদ ছিলেন। পরে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে। পরবর্তী সময়ে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।