ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেযবুত তওহীদ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিন মুসলমানদের জীবনে যেন মহাপ্রলয় নেমে এসেছে। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্যাতন, হামলা ও দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছে। ২০২৩ সাল থেকে এই সহিংসতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতিগতভাবে মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য এখন সেখানে প্রতি মুহূর্তে চলছে বোমাবর্ষণ। ঘরবাড়ি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লাখো নিরপরাধ মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারাচ্ছে।
তারা বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ভূমিতে আর কোনও একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। হয় তাদেরকে সেখান থেকে উৎখাত করে উদ্বাস্তু হিসেবে অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, অথবা তাদেরকে হত্যা করতে হবে। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব। প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বময় মুসলমানদের ওপর এত নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত কারণ কী?
তারা আরও বলেন, এসব ঘটনার প্রতিবাদের আমরা বিক্ষিপ্তভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ সভা, লংমার্চ করছি, পণ্য বয়কট করছি, ভাঙচুর করছি। কিন্তু এসব কিছু দুর্গতি থেকে মুক্তি লাভের সঠিক ও টেকসই পন্থা নয়। এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে— জাতির মধ্যে বিরাজিত সব ফেরকা, মাজহাব, দলাদলি এই মুহূর্ত থেকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ঘোষণা দিতে হবে যে, আমরা আমাদের সামগ্রিক জীবনে আল্লাহ ছাড়া আর কারও দেওয়া জীবনব্যবস্থা, হুকুম মানবো না। ঐক্যবদ্ধ মোমেনদের সমগ্র জ্ঞান, শিক্ষা, সম্পদ, জীবন দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উৎসর্গ করতে হবে।
হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, নারী নেত্রী তাসলিমা ইসলাম, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।