ইনস্টাগ্রামে পরিচয়ে পরে ঘুরতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার ওই গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো- মো. হাসিব চৌধুরী (২৭) ও আতিক হোসেন ভূইয়া (২৯)।
এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
বুধবার ( ৯ এপ্রিল) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত এক মাস আগে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয় হাসিব চৌধুরীর। পরিচয় থেকে তাদের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। গত ৪ এপ্রিল হাসিব তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে করে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। প্রাইভেটকারে তাদের সাথে হাসিবের বন্ধু আতিকও ছিলো। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ৯টায় বাসার উদ্দেশে রওনা করে। পথিমধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক কোমল পানির সাথে মদ মিশিয়ে পান করায়, ফলে ভিকটিম কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আসামিরা তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে পূর্ব থেকে ভাড়া করা তেজগাঁও শাহীনবাগ ইম্পেরিয়ান হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ভিকটিমকে জোরপূর্বক আটকে রেখে সারারাত গণধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে সকালে তারা ভিকটিমকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তেজগাঁও থানায় গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সূত্র ধরে ধারাবাহিক অভিযানে গত ৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা হতে আতিক হোসেন ভূইয়াকে ও গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা হতে হাসিব চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারের পর তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
তাদেরকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আতিক হোসেন ভূইয়ার কাছ থেকে ধর্ষণের সময় তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীকে তার ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) উদ্ধার করা হয়। মূল আসামি হাসিব চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করলে সে দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে গ্রেফতারদের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।