বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজপি) বাহারুল আলম। তিনি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।
আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মের প্রতি ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন র্যাব-৮ এর এএসআই সিরাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন এবং ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।
কেরাতে প্রথম হয়েছেন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা; দ্বিতীয় পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের নায়েক খান হাসিবুর রহমান; তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক।
নারী পুলিশ সদস্যদের কেরাতে বিজয়ী হন ১১ এপিবিএন, উত্তরার কনস্টেবল নাদিয়া নাছরিন নূপুর।
‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মারুফুল ইসলাম, যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন খুলনার কনস্টেবল মো. ইনামুল হাসান।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাই করা পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আজান ও কেরাতে প্রথম স্থান অধিকারী সদস্যরা আজান দেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।