১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ কেনার পর ব্যবসায়ী বুঝলেন ভুয়া

মিজানুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’ ব্যবসায় আকৃষ্ট করতে নানা প্রলোভন দেখায় ইফতেখার আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তি। সে দাবি করে, এই কয়েন জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যাবে। এরপর মিজানুর রহমান ৪৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেন। পরে আরও ৭৫ এবং ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক দেন। এরপর মিজানুর রহমান বুঝতে পারেন কয়েনগুলো ভুয়া ছিল এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

ওই চক্রের চার সদ্যকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান এসব তথ্য জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির আদাবর থানা পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো– ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)। তাদের কাছ থেকে চারটি ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’, ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১০টি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিসি ইবনে মিজান বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আদাবর থানায় একটি অভিযোগে দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে, আদাবর থানার-পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চার জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ম্যাগনেটিক কয়েনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

তিনি বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।