‘সাবেক কাউন্সিলরদের পৃষ্ঠপোষকতায় মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল জেনেভা ক্যাম্প’

মোহাম্মদপুর এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আসিফ ও রাজিবের পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন পালনের কারণে জেনেভা ক্যাম্প একটা মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার। 

রবিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বিগত সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেফতার সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, যারা কিশোর গ্যাং, ছিনতাই করে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা সেভাবে পাইনি। তবে এদের যারা পরিচালনা করে, তারা রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় পেয়ে থাকে। তারা যদি আশ্রয় না পেতো তাহলে অপরাধ জগতের সঙ্গে তাদের আত্মপ্রকাশ হতো না।

সম্প্রতি কিশোর গ্যাং সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর পেছনে মোহাম্মদপুরের সাবেক সরকার দলীয়রা কলকাঠি নাড়ছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর আসিফ ও রাজিব, এদের পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন পালনের কারণে জেনেভা ক্যাম্প একটা মিনি ক্যান্টনমেন্টে রূপ নিয়েছিল। আমরা সেই জেনেভা ক্যাম্পকে গুড়িয়ে দিয়েছি। এখন জেনেভা ক্যাম্পে কোনও গডফাদার নেই। আগে জেনেভা ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ ঢুকতে সাহস পেতো না। আমরা সেই জেনেভা ক্যাম্প এখন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যে কেউ যেকোনও সময় জেনেভা ক্যাম্পে যেতে পারবেন। কোনও অসুবিধা নেই। তবে এখনও মাদক আছে। এটা আমাদের অবজারভেশনে আছে। আমরা যেকোনও সময়ে এটার ব্যবস্থা নিবো।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা কেন্দ্রিক যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে নেতা ছিল, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কিশোর গ্যাংগুলো আজকে এতো বেপরোয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংগুলো তারা লালন-পালন করেছেন। তাদের ছত্রছায়ায় এরা বড় হয়েছে। তাদের পরিচয়ে এরা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাংগুলো বেপরোয়াভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে।

সাবেক কাউন্সিলররা বা কেউ এদের ইন্ধন যোগাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আগে একটা পরিচয়ে বড় হয়েছে সুতরাং তাদের ইন্ধন অবশ্যই থাকতে পারে। যেহেতু একটা ছত্রছায়ায় তারা লালন-পালন হয়েছে সুতরাং সেই ইনফুলেন্সটা কাজে লাগাতে পারে।