অধ্যাপক টি এ চৌধুরী মারা গেছেন

দেশের প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...)। রবিবার (৯ মার্চ) বেলা সোয়া ২টায় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)-এর পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওজিএসবি তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তিনি এই সংস্থার সাবেক সভাপতি ছিলেন। 

তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায়। তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস এবং অনার্স মার্কসহ প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে লাহোরের কিং এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পড়ার পর সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ যান এবং সেখানে থেকে এফআরসিএস সম্পন্ন করেন। তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী ১৯৬৫ সালে রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে এমআরসিওজি পাস করেন। 

দেশে ফিরে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে চাকরির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি ৬ বছর ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে বদলি হন। ৮০- এর দশকে তৎকালীন ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) যোগ দেন এবং ১৯৮৭ সালে এর পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বারডেম হাসপাতালে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অনারারি চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ'র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও পরবর্তীতে সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ‘সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজি’র প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস’র সভাপতি ছিলেন।
২০১৭ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন টি এ চৌধুরী।