ইস্কাটনে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুককে বাঁচানো গেলো না

রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ভবনে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মো. ফারুক মীর (৩৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  

বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, ফারুক মীরের শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার শরীরের গুরুতর দগ্ধ অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অবস্থার অবনতি হয় এবং চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।  

এর আগে একই ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। গত শুক্রবার (১ মার্চ) ভোররাত তিনটার দিকে হাতিরঝিলের ঢাকা বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনের পঞ্চম তলার ৪০৭ নম্বর রুমে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক খান (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান।  

কীভাবে ঘটেছিল বিস্ফোরণ?

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনের পঞ্চম তলায় ৪০৭ নম্বর কক্ষের এসিতে কোনও ত্রুটি বা অতিরিক্ত গরমের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং কক্ষে থাকা দুই জন দগ্ধ হন।  

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরই মধ্যে কক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক খানের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় মো. ফারুক মীর (৩৪) গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হলো। 

এ ঘটনায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। তারা এসি বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় ঠিক করছে।  

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন- নিয়মিত এসি সার্ভিসিং ও বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা না করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন- এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করার। ভেজা হাতে বা বিদ্যুৎ প্রবাহিত অবস্থায় এসির তার বা বোর্ড না ধরার। লোডশেডিং বা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে এসি চালু-বন্ধ হলে সতর্ক থাকার।

এই দুর্ঘটনা রাজধানীর পুরোনো ভবনগুলোতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।