উজবেকিস্তানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তাব

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দেশটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওজোদবেক নাজারবেদোভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।  বুবধার (৫ মার্চ) বৈঠকে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম  উজবেকিস্তানের মন্ত্রীকে তাসখন্দের কোনও উপযুক্ত স্থানে ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণের প্রস্তাব করেন।

বুধবার দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  বাংলাদেশ ও  উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বন্ধন ও সম্প্রীতির ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক দ্রুততার সঙ্গে স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন, যা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি ও মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মহান ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব ও তাৎপর্যের বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম উজবেকিস্তানের মন্ত্রীকে তাসখন্দের কোনও উপযুক্ত স্থানে ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণের প্রস্তাব করেন। তিনি সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

উজবেকিস্তানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী নাজারবেদোভ সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের বিষয়ে দূতাবাসের উদ্যোগ ও প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রগুলো কেবল প্রসারিতই হবে না, তা বন্ধুপ্রতিম জনগণের সৌহাদ্র্য ও বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী করতে অর্থবহ অবদান রাখবে। ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে বিকশিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ করে তাসখন্দে ‘শহীদ মিনার’ স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপনের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। এ বিষয়ে  সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী। দু’পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।