অযোগ্য ও দুর্বল পরিচালনা পর্ষদ দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় ইসলামি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ করেন ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম। এমন পরিস্থিতিতে তারা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের উদ্যোক্তাদের কাছে ইসলামী ব্যাংক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকরা বলেন, ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষ, সৎ, আদর্শ, ব্যাংকিং জ্ঞানসমৃদ্ধ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিল। যার সুফল ভোগ করেছিল আমানতকারী, গ্রাহক, বিনিয়োগ গ্রহীতারা। তবে পতিত স্বৈরাচার সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ব্যাংক লুটেরা এস আলম গ্রুপের দখলে পড়ার পর তার অদক্ষ ও অযোগ্য ছেলেকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। এতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অসৎ এবং দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে যায়। অযোগ্য ও দুর্বল পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালনার কারণে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। এতে ব্যাংকের কার্যক্রম চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সুনামহানি ঘটে ব্যাংকের। বিশাল সংখ্যক বিদেশি শেয়ারহোল্ডার তাদের শেয়ার বিক্রি করে চলে যায়। এসব কারণ আমলে নিয়ে আমরা ব্যাংকের পরীক্ষিত ও যোগ্য পরিচালনা পর্ষদকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আমরা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা গত ১০ বছরের অবৈধ দখলদারত্ব দূর করে গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের দাবি জানাই। আমরা ব্যাংকটিকে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার লক্ষে কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে চাই।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের আহ্বায়ক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল হক, ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ইসলামীক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।