চায়ের দোকানে দুই তরুণীর ধূমপানের জেরে যেতে হলো থানায়

রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর অভিযোগে দুই তরুণীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

কেন ওই দুই জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় দুই তরুণী দোকানে বসে ধূমপান করেছিল। এক বয়স্ক ব্যক্তি এতে বাধা দেন। এটি নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই তরুণীর একজন ক্ষিপ্ত হয়ে বয়স্ক ব্যক্তির ওপর চা ছুড়ে মারে। পরে আবার হাতে থাকা চায়ের মগটিও ছুড়ে মারে ওপরে। আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই জনকে উদ্ধার করে থানায় নিরাপদে আনা হয়। খবর পেয়ে অনেকে থানায় আসেন। এলাকার শিক্ষার্থীরাও আসে। পরে দুই পক্ষই তাদের ভুল বুঝতে পারে। দুই তরুণী বয়স্ক ওই ব্যক্তি কাছে ক্ষমা চায়ে। তিনিও তাদের ক্ষমা করে দেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান করছিলেন ওই দুই তরুণী। এতে বয়স্ক এক ব্যক্তির আপত্তি থেকে বাগবিতণ্ডার শুরু ও মানুষ জড়ো হয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ওই দুই জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মোহাম্মদপুর থানায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের আলোচনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই তরুণীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ওই দুই তরুণীর দাবি, বয়স্ক ব্যক্তিটি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করায় তার ওপর চা ছুড়ে মারা হয়। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়ো হন। তখন তারা চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন আরও অনেক মানুষ জড়ো হয়ে তাদের বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে থানায় বসে দীর্ঘক্ষণ দুই পক্ষের আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই ভুল স্বীকার করে।