প্রাণিকল্যাণ বোর্ড গঠনের দাবি

বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ‘প্রাণিকল্যাণ বোর্ড’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়েছে প্রাণিকল্যাণ সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার (পিএডব্লিউ) ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রাণিকল্যাণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের মাঝে প্রাণিকল্যাণ আইন ও প্রাণী অধিকার সম্পর্কে যথাযথ ধারণার ঘাটতি রয়েছে। 

পিএডব্লিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ আহ্বান জানান। 

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গৃহপালিত ও পথপ্রাণীদের সুরক্ষা, প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ও প্রাণিকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন।

তারা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ভারত ১৯৬২ সালে ‘অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ গঠন করে প্রাণিকল্যাণ কার্যক্রমকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোর মধ্যে এনেছে। জাতিসংঘও তার ‘ইউএন কনভেনশন অন অ্যানিমেল হেল্থ অ্যান্ড প্রোটেকশন (ইএনসিএএইচপি)’-এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাণিকল্যাণে গুরুত্বারোপ করতে উৎসাহিত করছে।  

সংগঠনটির প্রস্তাবনায় ‘প্রাণিকল্যাণ বোর্ড’-এর কাঠামো ও কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে— বোর্ডটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বা মন্ত্রীদের নেতৃত্বে গঠিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট দফতরের মহাপরিচালক, অবসরপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিবিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ, চিকিৎসক ও ভেটেরিনারিয়ানদের বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। নিবন্ধিত প্রাণিকল্যাণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও অভিজ্ঞ কর্মীদের বোর্ডের কার্যক্রমে যুক্ত করা প্রয়োজন। প্রাণিকল্যাণ আইন সংস্কার, নতুন নীতিমালা প্রণয়ন, গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বোর্ড কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।  

পিএডব্লিউ ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল বলেন, প্রাণিকল্যাণ শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি পরিবেশগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। ‘প্রাণিকল্যাণ বোর্ড’ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে একটি অগ্রসর জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে। 

সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে সংগঠনটি এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।