কাওরানবাজারে মিললো মেয়াদোত্তীর্ণ সয়াবিন তেল 

রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে পাওয়া গেছে মেয়াদোত্তীর্ণ সয়াবিন তেল। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল ও মজুদ করে রাখা তেল উদ্ধার করা হয়। এসময় অভিযানে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানায়, অভিযানে কতিপয় দোকানের সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভোজ্যতেল প্রদর্শন করা হচ্ছে না এবং ক্রেতাকে তেল নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তল্লাশিতে দোকানের গোপন স্থানে বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেলের (৫ লিটারের ২০০ কার্টুনের অধিক) মজুদ পাওয়া যায়।

তদারকিকালে ২০২৩ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উৎপাদিত তেল যা ২০২৪ সালের মে থেকে অক্টোবরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এমন পাঁচ লিটারের ৬ কাটুন সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়।

এছাড়া দেখা যায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদিত ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল যার এমআরপি ৮১৮ টাকা কিন্তু,  ৮৫০-৮৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কতিপয় খুচরা ব্যবসায়ী তেল লুকিয়ে রেখে গোপনে বিক্রি করছেন কিন্তু, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন না।

মেয়াদোত্তীর্ণ সয়াবিন তেল

এ সব অপরাধে কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স রামগঞ্জ জেনারেল স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা, মেসার্স রতন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স নূর স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা, আল আরাবিয়া গ্রোসারি এন্ড চাইনিজকে পাঁচ হাজার টাকা, মায়ের দোয়া স্টোরকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স তুহিন জেনারেল স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা এবং হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজকে দেড় লাখ টাকাসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য দেশব্যাপী বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের কাওরানবাজারে ভোজ্য তেলের ওপর তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন।

অপরদিকে ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম শান্তি নগর বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শান্তিনগর বাজারের দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে তেলের সংকট নেই কিন্তু কিছু পাইকারি ও খুচরা অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় তেল লুকিয়ে রাখার কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখানো হচ্ছে। পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।