রাজধানীর দক্ষিণখানে মাত্র ১২০০ টাকার জন্য আরিফুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলো- আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় (২০), রানা (২৩) ও আমির হোসেন মোল্লা (২০)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
দক্ষিণখান থানা পুলিশের বরাত দিয়ে ডিসি জানান, আরিফুল ইসলাম (২৭) উত্তরখান থানাধীন দোরাদিয়া বাজারে একটি এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। গ্রেফতাররাসহ কয়েকজনের আরিফুলের সঙ্গে ১২০০ টাকা পাওনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া চলছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গ্রেফতার রানা ফোন করে আরিফুলকে দক্ষিণখান থানাধীন নর্দাপাড়ার চান্দুর ফাঁকা মাঠে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকে আরও কয়েকজন ওত পেতে ছিল। আরিফুল সেখানে পৌঁছালে তারা তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আমির হোসেন মোল্লা ধারালো চাকু দিয়ে আরিফুলের বুকে গুরুতর আঘাত করে। আরিফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আরিফুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আরিফুলের বাবা মো. দুলাল হোসেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার জনকে অভিযুক্ত করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেদিন রাতেই সরাসরি জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় ও রানাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দক্ষিণখানের তালতলার একটি ভাড়া বাসার ছাদ থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমির হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। আমির হোসেনের দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে পাশের এক ব্যক্তির টিনের চালা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।