বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণবিরোধী ১১ দফা দাবি

ধর্ষণসহ সকল অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা। এছাড়া, ভিকটিমের গোপনীয়তা রক্ষায় একটি গোপন তদন্ত ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানানো হয়, যেখানে সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় রেখে সংবেদনশীল তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করাসহ অভিযোগকারীকে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা, আইনি সহায়তা এবং সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য মানসিক হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও ট্রমা কেন্দ্র চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, প্রতিটি থানায় প্রশাসনিক ও মাঠপর্যায়ের বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং শুধুমাত্র ধর্ষণের মামলার বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন ওসি ও অন্যান্য শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবিও তোলেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিটি থানার অধীনে ওয়ার্ড বা এলাকাভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার আনসার বা সমপর্যায়ের বাহিনীর টহল ব্যবস্থা করতে হবে এবং সম্পূর্ণ এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি এলাকায় নারী ও শিশুবান্ধব শাখা চালু করে অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বিচার বিভাগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ভিকটিমদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়াই এ দাবিগুলোর মূল লক্ষ্য।