মশক নিধন কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে ফগিং মেশিনে ট্র্যাকার সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে নগর ভবনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, অভিযোগ রয়েছে, সব এলাকায় ঠিকমতো মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এ জন্য ফগিং মেশিনে ট্র্যাকার বসানো হবে, যাতে কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি, রোজার আগেই মশার ওষুধের মান ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে তা যাচাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনের পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য আমরা ডিএনসিসি ডেডিকেটেড ডেঙ্গু হাসপাতাল প্রস্তুত করছি। এখানে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে, যাতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি না থাকে।
রোজার সময় অসহনীয় যানজটের কবলে থেকে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে শিক্ষার্থীরা কাজ করবেন বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক। তিনি বলেন, ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্কাউট এবং বিএনসিসির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়া বর্তমানে ট্রাফিক সহায়তায় থাকা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
রোজার পর শহরের প্রধান সড়কে রিকশা বন্ধ করা হবে জানিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ডিএমপির সঙ্গে সমন্বয় করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। এ জন্য রোজার পর শহরের প্রধান সড়কে রিকশা বন্ধ করা হবে। মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটারের ভেতর কোনও গাড়ি থাকবে না। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য এরই মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।