অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেলের ২১.৪৫ একর সম্পদ জব্দের নির্দেশ

পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নামে থাকা ২১ দশমিক ৪৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব জমির মূল্য ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী সন্তানের নামে থাকা জমি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এছাড়া গাজী মো. মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে থাকা ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি দলিলের জমি এবং সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি দলিলের জমি জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নামে থাকা ২৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। এসব হিসাবে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত। আবেদনে বলা হয়, গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও অবৈধভাবে ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যানসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন, বাড়ি দখল, রিমান্ডে নির্যাতন করে জমি লিখে নেওয়া, অবৈধভাবে নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। এভাবে তিনি নিজ নামে, তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমমের নামে ৬৭টি ব্যাংক হিসাবে ৪৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৪৮৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন ও বর্তমানে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। অবৈধ আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করে বিদেশে অর্থ পাঁচার এবং পরিবারের সদস্যেদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন। অনুসন্ধানকালে গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নিজ নামে এবং স্ত্রী-সন্তানদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেচে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।