অনুমতি নিয়েও উত্তরায় বাধার মুখে বসন্ত উৎসব

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যথাযথ অনুমতি নেওয়ার পরও রাজধানীর উত্তরায় বসন্ত উৎসব করতে পারেনি ‘জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষৎ’। প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা এবং পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশাপাশি উত্তরায় উন্মুক্ত মঞ্চে এই আয়োজনটি করার কথা ছিল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চারুকলা ও বাহাদুর শাহ পার্কের উৎসব ঠিকঠাক মতো হলেও বাতিল করতে হয়েছে উত্তরার আয়োজনটি।

আয়োজকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা রাতেও বাধাদানকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আয়োজকদের মধ্যে একজনকে আওয়ামী লীগের দোসর বলার পর তাকে আয়োজনের সংশ্লিষ্টতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত উৎসবটি করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বলেন, 'আমরা নিয়ম মেনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আবেদন করেছি, তারা আমাদের অনুমতিও দিয়েছে। আমরা বরাদ্দকৃত ভেন্যুর জন্য ভাড়ার টাকাও পরিশোধ করেছি। পুলিশ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার কারণে আজকে সেখানে অনুষ্ঠান করতে পারিনি।'

মূলত ইমন রহমান ফরহাদ নামে একজনের নেতৃত্বে এই বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে ইমনকে ফোন করা হলে নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে উত্তরার ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন উত্তরার উন্মুক্ত মঞ্চটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।

ইমন বলেন, 'এই উৎসব আয়োজনে উত্তরায় ওনাদের যে প্রতিনিধি, তিনি আওয়ামী লীগের দোসর।' তবে যাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে তার নাম চাইলে ইমন বলেন, 'ওনার নামটা জানি না।' বাধা দেওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে ইমন দাবি করেন, আয়োজকেরা মঞ্চটির সঠিক নাম ব্যানারে ব্যবহার করছে না।

তার ভাষ্য, 'আমরা ৫ অগাস্টের পর এই মঞ্চটিকে ‘মীর মুগ্ধ মঞ্চ’ নাম দিয়েছি। কিন্তু বসন্ত উৎসবের লোকজন সব জায়গায় এটিকে উন্মুক্ত মঞ্চ বলে পরিচয় দিচ্ছে। সাত মাস ধরে আমরাই মঞ্চটির রক্ষণাবেক্ষণ করছি।'