বিধিবহির্ভূতভাবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে এনসিটিবির কার্যাদেশের সত্যতা পেয়েছে দুদক

পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, বিধিবহির্ভূতভাবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়েছিল এনসিটিবি।

আকতারুল ইসলাম জানান, এনসিটিবিতে অভিযান চালানোর সময় দুদক কর্মকর্তারা সংস্থাটির দফতর পরিদর্শন করে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান ও সচিবের বক্তব্য নিয়েছেন। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন দরদাতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানের দর প্রস্তাবকে বিধিবহির্ভূতভাবে বাতিল করে উচ্চমূল্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা তথা ভারতীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। 

এছাড়াও ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন লটে বই মুদ্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনাগুলোর তথ্য, টেন্ডার মূল্যায়ন ও কার্যাদেশ প্রদানসহ প্রত্যেক বছরের বই মুদ্রণ সংক্রান্ত পরামর্শক, কাগজ ক্রয় ও মুদ্রণ তদারকি কমিটি সংক্রান্ত সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অন্যদিকে আজ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়েও পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের সময় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসময় উক্ত নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ নিয়োগ কমিটির গৃহীত অন্যান্য কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 

এছাড়াও এদিন কক্সবাজার সদর উপজেলার সাবেক তালিমুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় (পরানিয়াপাড়া দারুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানা) আরেকটি অভিযান চালানো হয়েছে। এতিম শিক্ষার্থীদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে সমাজসেবা অফিস হতে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দুদক।