হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আযমী

আমি মুক্তির জন্য আবেদন করিনি

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটসের গুম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমাকে যারা বেআইনি ও অবৈধভাবে অপহরণ করে আটক রেখেছিল, তাদের মধ্য থেকে এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি শেখ হাসিনার কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলাম এবং শেখ হাসিনা তা নাকচ করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্যটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠানো মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আযমী।

তিনি বলেন, ‘ওই সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, যেহেতু আযমী একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন, তাই শেখ হাসিনার কাছে তিনি মুক্তির আবেদন জানাতে থাকেন। কিন্তু প্রতিবারই তার আবেদন নাকচ করেন শেখ হাসিনা।’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী গোলাম আযমের সন্তান আযমী উল্লেখ করেন, ‘আবেদন জানাতে হলে সেনা কর্মকর্তা কেন, যে কোনও ব্যক্তিই জানাতে পারেন। আবেদন জানানোর জন্য সেনা কর্মকর্তা হতে হবে এ ধরনের কোনও বিধান নেই। তাই এখানে সেনা কর্মকর্তা দেখে আবেদন করার বক্তব্যটি হাস্যকর।’

আযমী জানান, আট বছরের বন্দিজীবনে তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেননি।

তিনি বলেন, ‘আবেদন করা তো দূরের কথা, আমি তাদের পক্ষ থেকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তির প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করি। বন্দি থাকাকালীন ২০২১ সালের ২৩ মে বিকালে সেখানকার (ক্যান্টনমেন্ট) এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, আমি দেশে থাকবো না, রাজনীতি করবো না, নিজের পরিবার নিয়ে বিদেশ চলে যাবো বলে একটি মুচলেকা দিলে তারা আমাকে মুক্তি দিতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলি, আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমি রাজনীতি করবো কী করবো না, দেশে থাকবো কী থাকবো না সেটা আমার সিদ্ধান্ত। আমি মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেতে চাই না। সেই কর্মকর্তা কয়েকবার বললেও আমি আমার বক্তব্যে অটল থাকি।’

আযমী সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার এ ধরনের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান।