ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে ২৭ বিশিষ্ট নাগরিকের যৌথ বিবৃতি

পাঠ্য বইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ‘আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির পূর্ব পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় অধিকার কর্মী, অধ্যাপক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে আদিবাসী ছাত্র-জনতার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকেই আহত হন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও টেক্সট বুক ভবনের সামনে সংঘটিত হামলার ঘটনায় আমরা সংক্ষুব্ধ। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের বিপরীতে ‘আদিবাসী’ জনগোষ্ঠীর সমাবেশের ওপর হামলা রাষ্ট্র  ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে বলে আমরা মনে করি।’

‘এ ধরনের ঘটনা পাহাড় ও সমতলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের  ধারাবাহিকতার প্রমাণ সামনে চলে আসে । এ ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

‘একইভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিলের দাবি মেনে নেওয়া এবং এর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলা একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কায়েমের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সব মত ও পথ, ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার উপযোগী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংবেদশীল রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করা জরুরি বলেও আমরা মনে করি।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন—সুলতানা কামাল, রাশেদা কে. চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন,  রানা দাশগুপ্ত,  ডা. ফওজিয়া মোসলেম, ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, এস.এম.এ সবুর, খুশী কবির, এম. এম. আকাশ, রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সালেহ আহমেদ, ড. জোবায়দা নাসরিন, পারভেজ হাসেম, কাজল দেবনাথ, আবদুল ওয়াহেদ, আব্দুর রাজ্জাক, জীবনানন্দ জয়ন্ত, এ কে আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, অলক দাস গুপ্ত, জহিরুল ইসলাম জহির,  দীপায়ন খীসা, রেজাউল কবির  ও গৌতম শীল।