ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার সংহতি সমাবেশ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী-ছাত্র জনতা’।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও এনসিটিবিতে হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে জগদীশ চাকমা এই ঘোষণা দেন।

এর আগে, বিকাল ৪টার দিকে তারা রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘যে গ্রাফিতিটি পাঠ্যবইয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি দেয়ালে আঁকা একটি গ্রাফিতি। সেখানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। কয়েকজন মানুষ প্রতিবাদ করলে সেটি নিয়ে প্রতিবাদ হতে পারে। কিন্তু কোনোরকম আলাচনা না করে তা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং গতকাল শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। যারা আক্রমণ করছে, তাদের মদদ দেওয়া হচ্ছে কিনা। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হামলা হয়েছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে অভ্যুত্থানের আগের এবং পরের মধ্যে পার্থক্য কী থাকলো?’

এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে রাষ্ট্রীয় কতৃপক্ষের ওপর বিশ্বাস থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের কিছু লোকজন বলেছেন, যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু যদি এভাবে হামলা চলতে থাকে, তাহলে তাদের কথা আর বিশ্বাসযোগ্য থাকবে না।’

এরপর রাজু থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে রোকেয়া হল-ভিসি চত্বর-কলাভবন-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।

সমাপনী বক্তব্য জগদীশ চাকমা বলেন, ‘এনসিটিবি যে গ্রাফিতি দিয়েছিল, সেটিতে পুরো বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটি মুছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, সেটি পুনর্বহাল করতে হবে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আদিবাসীদের দেশ থেকে নির্মূল করতে চায়। অনেক সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী লুকিয়ে আছে। তারা অনেকে সাম্প্রদায়িক হামলা করে হত্যা করেছে, তাদের এখনও বিচার হয়নি।’