হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রী নির্ধারণের ক্ষেত্রে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। এজেন্সির জন্য ন্যূনতম হজযাত্রী নির্ধারণ করে থাকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীর এই কোটা নির্ধারণে ধর্ম  মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবছর হজযাত্রীর ন্যূনতম সংখ্যা বা কোটা নির্ধারণ করে থাকে। গত বছরের ১৮ জুন সৌদি সরকার ২০২৫ সালের হজের হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণসহ হজ কার্যক্রমের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করে সেসময় বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার জন হবে বলে জানানো হয়। তবে গত বছরের ৬ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর সাথে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে  এ বছর হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা দুই হাজার জন থেকে কমিয়ে এক হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন,  হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সাবলীলভাবে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সর্বদা তৎপর রয়েছে। সৌদি সরকারের রোডম্যাপ ও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আমরা সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

হজ ব্যবস্থাপনা একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় কার্যক্রম উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, হজযাত্রী প্রেরণকারী সংশ্লিষ্ট দেশ এবং সৌদি সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে থাকে। একটি ধারাবাহিক কর্মপন্থা অনুসরণ করেই হজের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে হয়।

হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি সময়াবদ্ধ কার্যক্রম অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, সৌদি সরকার ঘোষিত সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও সময় অনুসরণ করেই হজের প্রতিটি কাজ শেষ করতে হয়। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করার কোনও অবকাশ নেই।

সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর একটি আধা-সরকারি পত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সালের হজে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সেবাদানকারী কোম্পানি নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা রিজার্ভ, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, ক্যাটারিং কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এখনও শুরু করা হয়নি। এ সকল কার্যক্রম সম্পাদনের সর্বশেষ তারিখ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত রয়েছে। তিনি হজ এজেন্সি মালিক বা পরিচালকদেরও দুয়েকদিনের মধ্যেই সৌদি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লিড এজেন্সি গঠনসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।

এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, সংস্থা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।