বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ঢাকার মিডিয়া কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলন ও চতুর্বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৪ শেষে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মোহাম্মদ আবদুল মন্নান হাওলাদার, চেয়ারম্যান, নির্বাচন কমিশন, প্রতিনিধি সভা ও চতুর্বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৪-এর সভাপতিত্বে সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. রফিজ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা ও সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক, গণিত বিভাগ ও সিনেট সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যুগ্ম মহাসচিব, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
কাউন্সিল অধিবেশন শেষে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন, নীতি নির্ধারণী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সেনানিবাস, ঢাকার ভাসানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম; সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিক্ষক মো. আবদুল আলিম ভূঁইয়া সুজন; নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন; সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিক্রীর চর মাধবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন; সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, মো. সাজেদুল হক বাবুল; সহকারী শিক্ষক, ভীমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালমারী, ফরিদপুরসহ ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।
বক্তারা ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি দীর্ঘ সময় ধরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়াসহ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে নিজেদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা তুলে ধরেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে নবনির্বাচিত সভাপতি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদেরকে ১০ম গ্রেড প্রদানসহ শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রধান শিক্ষকদেরকে ৯ম গ্রেড প্রদান সময়ের একমাত্র দাবি বলে জানায়। এ ছাড়া শিক্ষকদের ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে প্রাপ্য উচ্চতর গ্রেডের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ করে দ্রুত উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, পদোন্নতি পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে ১ম উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি, বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত, বদলির নীতিমালা সহজ করতে ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে অন্তঃউপজেলাসহ সকল পর্যায়ে বদলি চালু করা, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ের বন্ধের সাথে মিল রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্ধ দেওয়া এবং শিক্ষকদের টিফিন ভাতা ন্যূনতম ৩০০০ টাকা ঘোষণার করার বিষয়ে দাবি উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ইতোপূর্বে মৃত্যুবরণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালিত হয়।