বিহারী ক্যাম্পে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহের দাবি

সারা দেশে উর্দুভাষীদের স্থায়ী পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের ক্যাম্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দুভাষীদের সংগঠন স্ট্রান্ডেড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি)। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসপিজিআরসির আহ্বায়ক এম. শওকত আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর হতে এদেশের ১৩টি জেলায় ৭০টি ক্যাম্পে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অনেক উন্নতি হলেও এই হতভাগা জনগোষ্ঠী এখনও অত্যন্ত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বিগত ৫৩ বছরে যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, এই গোষ্ঠীর মানবিক সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখা করা যায়নি। আমরা শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।

তিনি বলেন, উর্দুভাষীদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্ট্যাটাসকো বিধি-বিধান প্রণয়ন করে থাকলেও প্রতিনিয়ত ক্যাম্পবাসীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উচ্ছেদ আতঙ্ক, বিনামূল্যে সরবরাহকৃত পানি ও বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার ভয়। আরও আছে প্রভাবশালীদের বৈষম্যপূর্ণ আচরণ।

তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পসহ অন্যান্য ক্যাম্পে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওয়াসা থেকে সারাদিন পানি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ক্যাম্পবাসীদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় মোহাজির অধ্যুষিত পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। সেখানে ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদেরকে সহজেই পূনর্বাসন করা যেতে পারে।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জেনেভা ক্যাম্পকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করে রেখেছে। ফলে ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ ক্যাম্পের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে থাকে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে এসব সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।