জুডিসিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারাও গাড়ি কিনতে পাবেন সুদমুক্ত ঋণ

প্রশাসন ক্যাডারের মতো জুডিসিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারাও পাচ্ছেন সুদমুক্ত ঋণে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সুযোগ। এ ক্যাডারের চাকরিকাল ১৫ বছর পূর্ণ করেছেন এমন যুগ্ম জজ ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা বিনা সুদে গাড়ি কিনতে পারবেন। এজন্য ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জে তারা ৩০ লাখ টাকা লোন পাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২৪’, ‘জ্বালানি, সংরক্ষণ ও চালকের বেতন বাবদ মাসিক খরচ’ এবং ‘গাড়িসহ আনুষঙ্গিক খরচ’ বাবদ ঋণের পরিমাণ বিষয়ে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এসব সুবিধা প্রশাসন ক্যাডারসহ অন্যান্য যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে (সুদমুক্ত গাড়ি কেনার সুযোগ) রয়েছে, তার সমভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যেসব কর্মকর্তা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন না, তারা জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবেন। আর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করলে পাবেন ২৫ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জুডিসিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত গাড়ি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালে জারি করা সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সবশেষে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিয়ে গাড়ি কেনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং চাকরিকাল ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এমন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন সুবিধা পাবেন।

ঋণের টাকায় ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি মডেলের গাড়ি কেনা যাবে। এক্ষেত্রে নতুন অথবা ২০২০ সালে জারিকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনার সময়কাল থেকে পূর্ববর্তী ৫ বছরের মধ্যে তৈরিকৃত গাড়ি কেনা যাবে।

২০১৭ সাল থেকে প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের জন্য সুদমুক্ত গাড়ি কেনার সুযোগ দেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সাল থেকে সশস্ত্র বাহিনীর মেজর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা সমমর্যাদার ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এই সুবিধার আওতাভুক্ত হন। পরে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারাও এ সুবিধা পান। এছাড়া সরকারের কয়েকটি বিধিবদ্ধ সংস্থার সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুবিধা পাচ্ছেন।