নগরবাসীকে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বের পথে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহারে জটিলতা বাড়ছে। ফলে স্বল্প দূরত্বে রাস্তায় অটোরিকশা নয়, হেঁটে চলাচল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সমাজে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য অটোরিকশা প্রয়োজন। আমাদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তা করতে হবে। তবে যে হারে অটোরিকশা বাড়ছে সেই হারে বাড়লে পুরো রাস্তা দখল করে ফেলবে এই অটোরিকশা। এরপর আপনারা কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। এখনই এই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অটোরিকশায় ৮০-৯০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে একদিনে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন মালিকরা। আমরা যারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা অন্য কোনও পেশায় আছি, তারা ১০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ১০টা অটোরিকশা নামিয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা আসছে। এক লাখ টাকা ব্যাংকে রাখলে এখন মাসে পাবেন এক হাজার টাকা। এজন্য অটোরিকশায় সবাই ইনভেস্ট করছে। আর হুহু করে অটোরিকশার সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে অটোরিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকলে এক সময় চলাচলের রাস্তা থাকবে না। রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে না। ঢাকা শহর অচল হয়ে যাবে। আমরা সরকারকে জানিয়েছি, যাতে করে আর একটিও অটোরিকশা বৃদ্ধি করতে না পারে।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এটি একটি স্বাধীন দেশ। আপনারা মিছিল-মিটিং করেন। এই দেশে বাকস্বাধীনতা আছে। আমরা এগুলোর নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত। তবে আপনারা এমন কোনও জায়গায় মিছিল-মিটিং করবেন না, যে কারণে ট্রাফিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক সমস্যা হলে নগরবাসী ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার ভেতরে আটকে থাকতে হয়। এতে গাড়ির তেল অপচয় হয়।
তিনি বলেন, মিছিল-মিটিং কিছু একটা হলেই রাস্তা বন্ধ। রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং কোনও একটা খোলা মাঠে করুন, তাহলে রাস্তা বন্ধ হবে না, নগরবাসীর ভোগান্তিও হবে না।