চোরতন্ত্র নিয়ে যা বললেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যখন আপনি কাউকে দায়িত্ব দেন, সেটা আইনসভা বলেন বা নির্বাহী বিভাগ বলেন অথবা বিচার বিভাগ— তারা সকলে যখন গোষ্ঠীবদ্ধভাবে একটি চুরির অংশ হয়ে যায় তখন সেটাই চোরতন্ত্র। আর দেশে চোরতন্ত্র সৃষ্টির উৎস গত ৩টি নির্বাচন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, চোরতন্ত্রের ভেতরে আপনি দেখবেন একটি রাজনৈতিকগোষ্ঠী, একটি আমলাগোষ্ঠী এবং আমলা যখন বলি আমরা তখন— উর্দি পরা এবং উর্দি ছাড়া দুটোর কথাই বলছি। রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ী এই তিন সহযোগে চোরতন্ত্র হয়।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি বলেন, এই চোরতন্ত্রের উৎস কোথায়? তাহলে উৎসে ফিরে যেতে হবে ২০১৮-এর নির্বাচন। তারপর ২০২৪-এর নির্বাচন। গত তিনটি নির্বাচন বিষবৃক্ষ সৃষ্টি করেছে এই চোরতন্ত্রে। এবং এর ভেতর দিয়ে আমার দেশে যে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ছিল, যে জবাবদিহির জায়গা ছিল, সেই জায়গাগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনের ভেতর যে কথাগুলো-পরামর্শগুলো আছে, সেগুলো কী আগামী দিনে এতিমের মতো ঘুরে বেড়াবে? নাকি কেউ দায়িত্ব নিয়ে অভিভাবকত্ব নিয়ে বাস্তবায়নের পথে এগোবো। আমরা মনে করি, ন্যূনতম একটা দুই বছরের পরিকল্পনা সামনে থাকা উচিত। আর এই সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।