নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি

বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ। রবিবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তারা।  

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০২১ সালে বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৪ বছরে কোন আবেদন নেওয়া হয়নি। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ বিবেচনায় অনৈতিকভাবে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আবেদন না নেওয়ায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।

তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সর্বস্তরে বৈষম্য নিরসনে কাজ করছে। আমরা নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। তাই নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর সকল শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আমাদেরকে এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।

তারা আরও বলেন, আমরা নন-এমপিও শিক্ষকরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ সরকারের সকল কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। সরকারের কাছে মানবিক বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি মো. নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. মনিমুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক পরিচালক ফকির নাসির উদ্দিন, নন এমপিও আন্দোলনের শিক্ষক আব্দুল বারী তালুকদার, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ প্রমুখ।