ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এর মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও মাজারের দানবাক্স নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাজারের খাদেম জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে আসা কয়েক হাজার মানুষ মাজারে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় মাজারের ভেতরে ঢুকে ভক্তদের মারধর করে। তারা জুতা পরে মাজারে প্রবেশ করে লোহার রেলিং ভেঙে ফেলে। তিনটি দানবাক্সও নিয়ে চলে যায়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাজারে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন মাজারের খাদেম জহিরুল ইসলাম।
তবে শাহবাগ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মুনসুর বলেন, ‘এ ধরনের কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। মাজারের খাদেম কিংবা কেউ কোনও লিখিত বা মৌখিক অভিযান জানায়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলন দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষাধিক আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। ফজরের পরপরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আসতে থাকে। বেলা ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকা মানুষে ভরে যায়। এ সময় মাজারের সামনে ও ভেতরে কয়েক হাজার মানুষকে দেখা যায়। সকাল ১১টার দিকে একদল ‘তৌহিদি জনতা’ হয়রত হাজী খাজা শাহবাজের (রাহ.) মাজারে যান। মাজারে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
মাজারের খাদেম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে তারা এসেই আমাদের গেটের বাইরের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলে। মাজারের ভেতরে থাকা ভক্তদের মারধর করে। তারা জুতা পরে মাজারে প্রবেশ করে এবং লোহার রেলিং ভেঙে ফেলে। তিনটি দানবাক্স ছিল, সেগুলো নিয়ে গেছে। এ সময় তারা এখানে একজন মহিলাকেও মারধর করেছে। ঘটনার এক পর্যায়ে আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দেই। সেনাবাহিনী আসায় তারা মাজার পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি। সমাবেশ শেষে আবারও মাজার ভাঙবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মুনসুর বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ এসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। মাজারের রেলিংয়ে অনেক মানুষ দাঁড়াতে বা বসতে পারে। এ ধরনের ভঙচুরের কোনও অভিযোগ পাইনি।’
মাজারের খাদেমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন মাজারে হামলা হয়, তখন খাদেম সাহেব তো থানার ওসিকে ফোন করবেন। কিংবা থানাকে জানাবেন। এমন কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। এখন পর্যন্ত লিখিত কিংবা মৌখিত কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।’