লেবানন থেকে এলো চতুর্থ ফ্লাইট, রাতে ফিরবেন আরও ৩৬ জন

 

 

লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আরও ৩০ জনকে দেশে ফিরিয়ে হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুত ও লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।   

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে এ পর্যন্ত মোট ১৮০ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 এর আগে ইসরায়েলের হামলায় বিপর্যস্ত লেবানন থেকে ১৫০ জনকে ফেরত আনা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ফেরত এসেছেন ৫৪ জন, ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬ জন দেশে ফিরে এসেছেন।

প্রত্যাবাসন করা অসহায় এ সব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা। আইওএম’র পক্ষ থেকে লেবানন থেকে ফিরে আসা প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। 

বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক  মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এখনও কোনও বাংলাদেশি লেবাননে হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাদের সবাইকে সরকারি খরচে দেশে ফেরত আনা হবে। বৈরুত থেকে দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং যেসব  প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এদিকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে দুবাই হয়ে আরেকটি ফ্লাইটে ৩৬ জন বাংলাদেশির ফিরে আসার কথা রয়েছে। এদিন রাত ১১টায় তাদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।