শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল

শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি ) মশাল মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।

রবিবার (২৭ আগস্ট ) সন্ধ্যায় মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এসময় আবু সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমার ভাই মরলো কেন? জবাব চাই দিতে হবে। ইত্যাদি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।

মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাভারে আমার যেসব ভাইয়ের ওপর পুলিশ লেনল। তাহলে কেন তাদের ওপর গুলি চালানো হলো, আমরা জানতে চাই। প্রশাসনকে এর জবাব দিতেই হবে।

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত ২৪ আগস্ট গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে  শ্রমিক চম্পা খাতুন আজ ঢাকা মেডিক্যালে মৃত্যুবরণ করেছেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, পুলিশ নাকি আন্দোলনরত শ্রমিকদের ভয় দেখাতে সাউন্ড গ্রেনেড আর টিয়ারশ্যাল নিক্ষেপ করেছিল, গুলি করেনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একের পর এক শ্রমিক হত্যা করছে। যে শ্রমিকরা জুলাই অভ্যুত্থানে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন, জীবন দিয়েছেন, আজ এই সরকার তাদের দাবিতে কর্ণপাত করছে না। একের পর এক গুলি চালিয়ে এই সরকার নিজেদেরকে প্রমাণ করছে, এই সরকার শ্রমিক এবং মেহনতী মানুষের বিপক্ষের সরকার।

এই সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় কিংবা শিল্প মন্ত্রণালয় কি আদৌও গণঅভ্যুত্থানে শক্তির মানুষ পরিচালনা করছে? নাকি আওয়ামী লীগের দোসর ব্যবসায়ীরা পরিচালনা করছে? এই নিয়ে আমার প্রবল সংশয় রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে আমরা দেখি, '২৪ এর ডামি ইলেকশনে এমপি হওয়া হামিম গ্রুপের মালিক এ. কে আজাদের উপস্থিতি। যই এ. কে আজাদরা গত ১৫ বছর ধরে ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা’ বলে বেড়াতেন। আজ তাদের পরামর্শেই কি শ্রমিকদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে এই সরকার?  আজাদের মতো লোকেরা কি এই সরকারের অংশ, নাকি আওয়ামী লীগের দোসর, সেটা পরিষ্কার করুন।