সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্লট বাতিলের দাবিতে রাজউক রূপগঞ্জের পূর্বাচল শাখা কার্যালয় ঘেরাও করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টর এলাকার শাখা কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্বাচলের প্রকৃত জমির মালিকদের বঞ্চিত করে বিগত সময়ে শেখ হাসিনার পরিবারসহ তার পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে প্লট লুটপাট করা হয়েছে।’
তারা আরও বলেন, ‘নানা অনিয়মের মাধ্যমে বরাদ্দ নেওয়া বিগত সরকারের দোসরদের সব প্লট বরাদ্দ বাতিল চাই। দাবি আদায় না হলে আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটির ওপর দিয়ে যাওয়া ৩০০ ফুট সড়ক বন্ধ করে অবরোধ করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে তাদের নামে বরাদ্দ করা প্লট বাতিলের বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধরা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করেন।
‘পূর্বাচল আদিবাসী অধিকার আদায় আন্দোলনে’র প্রধান সমন্বয়ক দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ আলম অভি, আনোয়ার, সাহেদ প্রধান, মুন্না, শিক্ষক সানজিদা আক্তার, আমেনা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ২০২২ সালে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা নিজের নামে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তিকে ১০ কাঠার প্লট দেওয়া হয়। পরে রাজউকের নথিতে এটি ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়।