ঢাবি শিক্ষার্থী আবু বকর হত্যার বিচার দাবিতে ভিসিকে স্মারকলিপি

আবু বকর হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক মো. সানাউল হকের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে মাথায় গুলি লেগে আবু বকরের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

স্মারকলিপিতে কয়েকটি দাবি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখা। এগুলো হলো– আবু বকর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব দোষীকে অন্যায়ভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করতে হবে; আবু বকরের পরিবারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে উপযুক্ত এককালীন আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; আবু বকরের স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামাঙ্কিত একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত প্রতিটা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে; ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া প্রতিটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দ্রুত ও কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে।

আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান। ওই সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন। আইন বিভাগের আহত ছাত্র ওমর ফারুক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সেখানে ১০ জনকে আসামি করা হয়,যারা সবাই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পরে ২০১৮ সালে মামলায় রায়ে সবাইকে খালাস দেওয়া হয়। মামলার রায়ের বিষয়ে আবু বকরের পরিবারকে জানানো হয়নি। ছয় মাস পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারে তারা।