সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর (শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত) করার দাবিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কাফনের কাপড় পরে ২৫ আন্দোলনকারী অনশনে বসেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেখা যায়, জাদুঘরের সামনে কাফনের কাপড়ে বসে আছেন আন্দোলনকারীদের একটি অংশ। এসময় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের অন্যতম সংগঠক মো. হারুন জানান, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত তারা যাবেন না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা গত রবিবার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই৷ তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা না হচ্ছে, আমরা শাহবাগ ছাড়ছি না। সকাল ১১টা থেকে অবস্থা কর্মসূচি চলছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ জন ৩৫ প্রত্যাশী অনশনে বসেছে।
এ সময় ‘উই ওয়ান্ট নো এজ লিমিট’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই প্রজ্ঞাপন’, ‘৩২-৩৩ বুঝি না, ৩৫ ছাড়া বুঝি না’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কমিটির প্রধান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। গত ১৪ অক্টোবর সচিবালয়ে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হবে তা নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।
আরও পড়ুন-