দুর্নীতি মামলায় ডাক বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাক কারাগারে

১৫ কোটি টাকার সার্ভার ও ইউপিএস কেনার অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ অক্টেবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নাজির আকন্দ নাকিব আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তারে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।

আটক রাখার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে পালিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীকালে তদন্তকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায়, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামির জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ‘পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুর‌্যাল কমিউনিটি’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার ৫০০টি ‘এইচইপি সার্ভার এবং ইউপিএস ক্রয় করেন। কিন্তু তা ব্যবহার না করে সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ এর ২৩ ধারায় সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেন।

১৫ কোটি টাকার সার্ভার ও ইউপিএস কেনায় অনিয়ম করার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ দুই জনের নামে মামলা করে দুদক। এর আগে দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২০ সালে সুধাংশু শেখর ভদ্রকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। ওই সময় তাকে অপসারণের সুপারিশ করেছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।