বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে আহত পরিবহন শ্রমিক সোহেলের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার সাব ইন্সপেক্টর আতিকুজ্জামান গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের গ্রেফতার দেখান।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন– আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদসহ ৭৯ জন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টায় খিলগাঁও থানাধীন শহীদ বাকি সড়ক খিলগাঁও পল্লিমা স্কুলের সামনে আন্দোলনে যুক্ত হন মো. সোহেল (৩৪)। তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে সরকার দলীয় সমর্থকসহ পুলিশ ছাত্র জনতার দিকে ইট পাটকেল, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলিসহ সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে। ফলে মামলার বাদীর ডান হাতে ও কপালের গুলি লাগে। গুরতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। ছাত্র জনতা হাসপাতালে নেওয়ার পর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর কয়েকটি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে পুনরায় ৭ মামলায় ৪৩ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড চলাকালীন আজ তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।