ভারী বৃষ্টিতে দুই নদীর দুই পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেটের মনু-খোয়াই ও ধলাই নদী ছাড়া দেশের আর সব নদীর পানি এখন কমছে। আর কোনও নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিপদসীমার ওপরে থাকা নদীগুলোর মধ্যে নীল-জিঞ্জিরান নদীর গোয়ালকান্দা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের জিঞ্জিরাম, ভুগাই-কংস ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে। বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দা এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী, গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী ৩ দিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও উজানে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তারপরেও আগামী ৩ দিন পর্যন্ত জিঞ্জিরাম, ভুগাই-কংস ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমতে পারে। আগামী ৩ দিন নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী ও জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এদিকে রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে পাচ্ছে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ১ দিন কমতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা এবং তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট বিভাগ ও উজানে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। যার প্রেক্ষিতে আগামী দুই দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে পারে এবং পরবর্তী ১ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীর মধ্যে সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীর পানি কমছে, অপরদিকে মনু-খোয়াই ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী এক দিন মনু-খোয়াই, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা ও ধলাই নদীর পানি কমতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে অপরদিকে, সাঙ্গু নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে এবং মহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন এসব জায়গা ভারী বৃষ্টি হবে না বলে সব নদীর পানি কমতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী এক দিন পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি দুই দিন কমতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।