রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার জামিন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাভার রানা প্লাজা সার্ভাইভারস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন লস্কর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত এবং ২ হাজার ৫০০-এরও বেশি মানুষ আহত হন। যা বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা। সোহেল রানা ও গার্মেন্টস মালিক যারা এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বহুবার বিচার এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার ভিকটিমদের এখনও ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন পেতে লড়াই করতে হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সোহেল রানাকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায় ‘নিপীড়িতদের ন্যায়বিচারের দাবি এবং শ্রমিকদের অধিকারকে অবজ্ঞা করে’ বলে উল্লেখ করেন সংগঠনের এই দুই নেতা। তারা বলেন, সরকার সেই ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে, যিনি তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর হতাশার সঙ্গে জানাচ্ছি, রানাকে জামিন দেওয়া শ্রমিক-শ্রেণির প্রতি অবহেলার একটি বড় উদাহরণ। বর্তমানে অসংখ্য শ্রমিক তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, অথচ অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত অন্য ৪০ জনের বিচার প্রক্রিয়াও বছরের পর বছর বিলম্বিত হয়েছে।
রানাপ্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি এবং যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শ্রমিকদের এই দুই নেতা। একইসঙ্গে তারা উচ্চ আদালতের জামিন আদেশটি দ্রুত চ্যালেঞ্জ করে ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।