জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পুরনো ও নতুন খতিবের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এর কিছু পরেই মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা স্লোগানে বলেন—‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় মুসল্লিরা সামনের রাস্তায় গিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেন। এ সময় তারা বারবার মাইকে অনুরোধ করেন মুসল্লিদের চলে যেতে।
জুমার নামাজ শুরুর আগে খতিব জটিলতায় থমথমে হয়ে উঠে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পরিবেশ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন ফিরে আসার ঘটনায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। মসজিদের সামনের রাস্তায় রাখা হয়েছে একটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে রাখা হয়েছে একটি পুলিশের এপিসি কার (অস্ত্রসজ্জিত যান)। পল্টন মোড়ে রয়েছে জলকামান এবং কয়েক শতাধিক পুলিশ।