এ বছর কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়েছেন ২৬ বাংলাদেশি

চলতি বছর কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়েছেন ২৬ জন বাংলাদেশি। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) ব্রিটিশ কাউন্সিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ২০২৪ সালে কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের জন্য একটি প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং সেশনের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৬০ সাল থেকে শুরু হওয়া কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশনের (সিএসসি) মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে কমনওয়েলথ বৃত্তি বা ফেলোশিপ লাভ করেছেন। বর্তমানে ১০৫ জন বাংলাদেশি কমনওয়েলথ বৃত্তির অধীনে অধ্যয়নরত আছেন। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন, যাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ প্রায় শেষের দিকে।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক, ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরাসহ যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি পেয়েছেন ২৬ জন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘এ বছর ২৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রাপ্ত হয়েছেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত সব স্কলারকে অভিনন্দন। আমি তাদের নিরন্তর সাফল্য কামনা করি।’

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করা কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক স্বীকৃতি সত্যিই প্রশংসনীয়।’ তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮৬৭ জন স্কলার এই সম্মানজনক প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের জীবন ও দেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের প্রমাণ এটি।

এ বছরের স্কলাররা বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন, যার মধ্যে রয়েছে বিহেভিয়োরাল অ্যান্ড ইকোনমিক সায়েন্স, বায়োলজিকাল কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটেশনাল অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স, ডেটা অ্যান্ড ডিসিশন অ্যানালিটিক্স, এডুকেশন, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমস, গ্লোবাল হেলথ পলিসি, গ্লোবাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড এপিডেমিওলজি, হেলথকেয়ার ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রাইটস, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল এবং হিউম্যান রাইটস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স ল, ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড হেলথ ডাটা সায়েন্স, মিউজিয়াম স্টাডিজ, পাবলিক হেলথ, পাবলিক পলিসি, সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি ও টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল।