গুম-খুনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ্য করা হবে না: মায়ের ডাক

দেশে গুম-খুনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন আর সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গুম করে রাখার জন্য আয়নাঘরের মতো যত ঘর আছে, সেখানে বন্দিদের ফেরত দিতে হবে এবং সব আয়নাঘর ভেঙে দিতে হবে। দেশে আর কোনও আয়নাঘর থাকবে না।’

বুধবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মায়ের ডাক আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং রাজনৈতিক নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

মায়ের ডাক আয়োজিত মানববন্ধন

সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে জবানবন্দি নিতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনা ছাড়াও তথ্য উদ্ধার করে আমাদের জানাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে বলছি, অতি শিগগিরই গুমের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, কীভাবে স্বাধীনতা আনতে হয়, আমরা ২০২৪-এ এনেছি। হারানো স্বজনদের ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের খোলস পাল্টে যতখানি পারেন সাজিয়ে দেন। সেই কাজের মধ্য দিয়ে দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হবে। যারা গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। মায়েয় ডাক মানে মায়ের আকুতি, এই আকুতি শুনতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তারেক রেজা বলেন, ‘এই সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আজ ছয় দিন হয়ে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না কেন? তাদের কী খুন করা হয়েছে? যদি তাই হয়, তাহলে খুনিরা কই? আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হোক।’

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার যাদের গুম করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। এর সঙ্গে যেসব সেনা কর্মকর্তা জড়িত তাদেরও বিচার করতে হবে। আমাদের যেসব ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে।’