‘হামলাকারীরা যত শক্তিশালী হোক বিচারের আওতায় আনতে হবে’

হামলাকারীরা যত শক্তিশালী হোক, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কোটা আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে ‘মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের’ প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এ দেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত তাণ্ডব চালিয়েছে। কোটা আন্দোলনের নামে যে ঘটনা, সেটি ১৯৭১ সালের সেই তাণ্ডবের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনও ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত, রাজাকারের দল। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে শক্তি। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।’

স্বাধীনতাবিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেলো প্রশ্ন রেখে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও ছিলেন– বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান (বীর বিক্রম), বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।